
শিশু যৌন-নির্যাতনের মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন। চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। সেই অভিযোগপত্র গৃহীতও হয়েছে। তবুও এখনো স্বপদে বহাল ওই মামলায় জামিনে থাকা এই কাউন্সিলর।
স্বাভাবিকভাবে কোন জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র গৃহীত হলেই মেয়র বা কাউন্সিলর সাময়িক বরখাস্ত হবেন। যতদিন আদালতে এ মামলার বিচার শেষ না হবে, ততদিন তিনি বরখাস্ত থাকবেন। খালাস পেলেই ফিরে পাবেন পদ। সম্প্রতি ঢাকা দক্ষিণের কাউন্সিলর ইরফান সেলিমের ক্ষেত্রে এর কার্যকারিতা দেখা গেছে। কিন্তু অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরেও স্বপদে বহাল আছেন সাবেক যুবলীগ এ নেতা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব আ ন ম ফয়জুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমনের বিষয়ে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ তাদের কাছে কোনো প্রতিবেদন পাঠায়নি। প্রতিবেদন পেলেই তারা বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।
জানা গেছে, ২০১৮ সালের মে মাসে তৌহিদুল হক সুমনের বিরুদ্ধে ১২ বছরের এক শিশুকে নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে বলাৎকারের অভিযোগ ওঠে। ওই সময় তিনি রাজশাহী নগর যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার। ওই অবস্থায় ২০১৮ সালের জুলাইয়ে সুমন ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।
চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইফতেখার মোহাম্মদ আল-আমিন রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তাতে প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত করা হয় তৌহিদুল হক সুমনকে।
