
যমযম ডেস্ক : স্কুল থেকে বাড়িতে ফিরে বরুড়া উপজেলার বাতাইছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী মারিয়া তার মা’কে জানায়, আম্মু আমি আর ঐ স্কুলে যাবো না। কারন জানতে চাইলে মারিয়া তার মাকে জানায়, হিজাব ও ওড়না খুলতে না চাওয়ায় সহকারী শিক্ষক আলী ইমাম স্যার তাঁকে পিটিয়েছে। কেবল পেটায় নি সহপাঠীদের দিয়ে জোর করে হিজাব ও নেকাব খুলিয়েছে এবং অকথ্য ভাষায় আজেবাজে কথা বলে গালমন্দ করেছে।
কেন হিজাব খুলছে জানতে চাইলে মারিয়া কেঁদে কেঁদে জানায়, চুল স্টাইল করে কেটেছি কি না অথবা খোপা স্টাইল করে বেঁধেছি কি না দেখতে চেয়েছে। গোসল করে গিয়েছি তাই চুল ভেজা থাকায় আমি হিজাব খুলতে রাজি হইনি, সেজন্য আমাকে অনেক মেরেছে। আমি আর ঐ স্কুলে যাবো না।
বিষয়টি প্রথমে গুরুত্ব না দিলেও মেয়ের শরিরে রক্তাক্ত আঘাত ও বেতের বারির চিহ্ন দেখে টনক নড়ে মায়ের। এরপরই মারিয়ার মা খাদিজা আক্তার পুতুল অনৈতিক ভাবে মেয়েকে পেটানোর প্রতিবাদে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি ও প্রধান শিক্ষককে বিষয়টি অবহিত করলে কোনরুপ ব্যবস্থা নেয়নি তারা।
তাই ঘটনার পরদিন বৃহস্পতিবার সরকারি শিক্ষক আলী ইমামের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দাখিল করেন।
যমযম টুয়েন্টিফোরের পক্ষ থেকে কিছুক্ষণ আগে ফোনে নির্যাতিতা স্কুল ছাত্রীর মায়ের কাছে ছাত্রীটির বর্তমান অবস্থা জানতে চাইলে তিনি জানান, মেয়েটি আমার এখন খুব অসুস্থ বিছানায় পড়ে আছে। এখন পর্যন্ত প্রশাসন কোনো আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আজকে আমি শিক্ষা অফিসার ও ডিসি অফিসে গিয়েছিলাম নালিশ করতে। শুনেছি এই ফাকে থানা থেকে একজন লোক এসেছে কিন্তু কার্যত এখনো ওই নির্যাতনকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

কুলাঙ্গারের বিচার চাই।