
বৈশ্বিক পাসপোর্ট র্যাংকিংয়ে গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে পাঁচ ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। আগের বছর ৯৫তম স্থানে থাকলেও এবার ১০০-তে নেমে গেছে, যা সূচকের সর্বনিম্ন অবস্থান থেকে মাত্র পাঁচ ধাপ ওপরে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক নাগরিকত্ব ও পরিকল্পনাবিষয়ক সংস্থা হ্যানলি অ্যান্ড পাসপোর্ট পার্টনার্সের সূচক থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। ভিসা ছাড়া শুধু পাসপোর্ট দিয়ে বিদেশ যাওয়ার ওপর জরিপের ভিত্তিতে এ র্যাংকিং করা হয়েছে।
র্যাংকিংয়ে শীর্ষে আছে এশিয়ার দেশ জাপান। দেশটির পাসপোর্ট দিয়ে ১৯০ দেশে বিনা ভিসায় ভ্রমণ করা যায়।
দ্বিতীয় স্থানে আছে সিঙ্গাপুর। ভিসা ছাড়াই ১৮৯ দেশে ভ্রমণের সুযোগ রয়েছে সিঙ্গাপুরের পাসপোর্টে।
এর পর র্যাংকিংয়ে তৃতীয় স্থানে যৌথভাবে রয়েছে- ফ্রান্স, জার্মানি, দক্ষিণ কোরিয়া, যাদের পাসপোর্টধারী নাগরিকরা ভিসা ছাড়াই ১৮৮ দেশে ভ্রমণের সুবিধা পেয়ে থাকেন। অন্যদিকে তালিকার শেষে ১০৫ নম্বরে রয়েছে ইরাক ও আফগানিস্তান।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কেন কমেছে বাংলাদেশের পাসপোর্টের ক্ষমতা?
বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ভিসামুক্ত যাতায়াতের দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে পাসপোর্ট-এর ক্ষমতা বাড়ে। আর ভিসামুক্ত যাতায়াতের চুক্তি নির্ভর করে দু’দেশের সম্পর্কের গভীরতার উপর। সুতরাং বাংলাদেশ যদি বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করতে না পারে আর অন্যান্য দেশগুলো পরস্পরে সম্পর্ক গভীর করত ভিসামুক্ত যাতায়াতের চুক্তি করে নেয়, তাহলে তুলনামূলক বাংলাদেশের পাসপোর্ট-এর ক্ষমতা কমে আসবে।
অথবা বাংলাদেশ যদি নিজের পর্যটন শিল্পকে সমৃদ্ধশালী করতে পারে তাহলে অন্যান্য দেশ তার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ভিসামুক্ত যাতায়াতের চুক্তি করতে উদ্বুদ্ধ হবে, ফলে বাংলাদেশেরও পাসপোর্টের ক্ষমতা বাড়বে। অবশ্য এর জন্য দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকতে হবে এবং দেশে কোনো ধরনের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা থাকতে পারবে না। অন্যথায় দিনে দিনে বাংলাদেশের পাসপোর্ট-এর ক্ষমতা কমে আসবে।
