
দাড়ি রাখা, টাকনুর উপর কাপড় পড়া, ধর্ম নিয়ে পড়াশোনা ও ধর্মচর্চা করা জঙ্গির লক্ষন!
আজ অধিকাংশ জাতীয় পত্রিকায় ‘সন্দেহভাজন জঙ্গি সদস্য সনাক্তকরণের (রেডিক্যাল ইন্ডিকেটর) নিয়ামকসমূহ’ নামে একটি পোষ্টার ছাপানো হয়েছে। সেখানে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের জন্য কিছু লক্ষণের কথা বলা হয়েছে। যে লক্ষণগুলো দেখলে তাকে জঙ্গি হিসেবে সন্দেহ করা যাবে। সেই সন্দেহের মধ্যে ইসলামের আবশ্যক পালনীয় দাড়ি রাখা, টাখনুর উপর কাপড় পড়াসহ বেশ কিছু লক্ষণকে জঙ্গি লক্ষণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।
পোষ্টারে উল্লিখিত জঙ্গি লক্ষণের মধ্যে আরও রয়েছে- ধর্ম চর্চার প্রতি ঝোঁক; গায়ে হলুদ, জন্মদিন পালন, গান বাজনা ইত্যাদি থেকে নিজেকে গুটিয়ে রাখা; মিলাদ, শবেবরাত, শহীদ মিনারে ফুল দেয়াকে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে সমালোচনা করা ইত্যাদি।
‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ নামে একটি সংগঠনের নামে পোস্টারটি প্রকাশ করা হয়েছে।
জানা যায়, ধর্মনিরপেক্ষতার স্লোগানকে ধারণ করে গত বছরের জুলাই মাসে এই সংগঠনটি আত্মপ্রকাশ করে। এর আহবায়ক হলো পীযূষ বন্দোপধ্যায় নামে একজন নাট্যকার।
জঙ্গিবাদের দিকে ঝুঁকে পড়ার ৪টি ধাপের কথা বলা হয়েছে পোষ্টারে। তার প্রথম ধাপেই রয়েছে- তাওহীদ, শিরক, বেদাত, ঈমান, আকীদা, সালাত, ইসলামের মূলনীতি, দাওয়া ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করা।
এদিকে ইসলামের মৌলিক রীতি নীতিকে জঙ্গিবাদের লক্ষণ হিসেবে তুলে ধরায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ধর্মীয় আলেম ও ওলামারা। তারা এসব বিষয় জঙ্গিবাদের লক্ষণ থেকে অপসারণের দাবি জানান। এবং তারা মনে করছেন ইসলামের উন্নতি ও অগ্রগতি রুখে দিতেই এ ধরনের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। ইসলামী ভাবধারা ও ইসলামের চিহ্নগুলো মুছে দিতেই এই ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে।

ভাই, এটা কি report লিখেছে? কারা কারা ছিলেন, কারা arrange করেছেন? কোন কিছুই নাই, শুধু একটা ছবি দিলেন আর হয়েগেলো? কিছুটাত sincere হন।
এই যুক্তি গুলো কোনো বাবার সন্তানরা বলেনা, যারা মায়ের জন্মে বিশ্বাস করে, যাদের কোনো ধর্ম নাই, যারা কাকড়া ও বানর থেকে জন্মেছে এগুলো তাদের কথা।