
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ও জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব, প্রবীণ আলেমে দ্বীন আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী রহ. এর জানাজায় অংশ নিতে বায়তুল মোকাররমে মানুষের ঢল নেমেছে। ভোর থেকেই লোকে লোকারণ্য হয়ে গেছে বায়তুল মোকাররম ও তার আশপাশের পুরো এলাকা। ফজরের নামাজে অংশ নিয়েছেন বিপুল সংখ্যক মুসল্লি।দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উপস্থিত হয়েছে হাজারো ধর্মপ্রাণ মুসল্লী। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে মানুষের উপস্থিতি যেন শুধু বেড়েছেই। ধারণা করা হচ্ছে, স্মরণকালের বৃহৎ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ।
জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বয়ান করেছেন আল্লামা কাসেমীর হাতেগড়া প্রতিষ্ঠান জামিয়া বারিধারার ভারপ্রাপ্ত মুহতামিম মাওলানা নাজমুল হাসান, নিজ দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল্লামা জিয়াউদ্দিন, হেফাজতের পক্ষ থেকে আমিরে হেফাজত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, কওমি শিক্ষা বোর্ড বেফাক ও আল-হাইআর পক্ষ থেকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল্লামা মাহমুদুল হাসান ও পরিবারের পক্ষ থেকে আল্লামা কাসেমীর ছোট ভাই মাওলানা আবদুল কুদ্দুস। তারা স্মৃতিচারণ করে আল্লামা কাসেমীর কর্মবহুল জীবনের নানাদিক নিয়ে কথা বলেন।
জানাজার নামাজে ইমামতি করেছেন, আল্লামা কাসেমীের ছোট ছেলে মুফতি জাবের কাসেমী।
গত ১ ডিসেম্বর শ্বাসকষ্ট হওয়ায় বর্ষীয়ান এ আলেমকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
গতকাল রোববার দুপুর সোয়া ১টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার ইন্তেকাল হয়।
হাজার হাজার আলেমের উস্তাদ ও শীর্ষ ইসলামি রাজনীতিক মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী অরাজনৈতিক ধর্মীয় সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ছাড়াও বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকের সিনিয়র সহ-সভাপতি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব, জামিয়া মাদানিয়া বারিধারার প্রতিষ্ঠাতা-প্রিন্সিপাল ছিলেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে ও ২ মেয়েসহ বহু আত্মীয়-স্বজন, ভক্ত ও ছাত্র রেখে গেছেন।
১৯৪৫ সালের ১০ জানুয়ারী কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ থানার চড্ডা নামক গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
