
ফ্রান্সে প্রকাশ্যে বহুতল ভবনে রাসূল সা. এর ব্যঙ্গ কার্টুন প্রকাশের প্রতিবাদে ২৭ অক্টোবর, মঙ্গলবার ঢাকাস্থ ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। ওইদিন সকাল ১০টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে জমায়েত অনুষ্ঠিত হবে। দূতাবাস অভিমূখে বিশাল গণমিছিলে নেতৃত্ব দিবেন আন্দোলনের সংগ্রামী আমীর হযরত পীর সাহেব চরমোনাই।
ফ্রান্স সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে পুলিশ পাহারায় মুহাম্মদ সা. এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করে মুসলিম উম্মাহ’র কলিজায় আঘাত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই।
তিনি ব্যঙ্গ কার্টুন প্রকাশের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে বলেন, মুসলমানরা তাদের নবী মুহাম্মদ সা.কে তাদের প্রাণের চেয়ে বেশি ভালোবাসে। ফ্রান্স সরকার নবীর বিরুদ্ধে ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের মাধ্যমে তাদের হিংসাত্মক মনোভাব প্রকাশ করেছে।
তিনি বলেন, ফ্রান্স সরকার নবীর বিরুদ্ধে ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের মাধ্যমে বিশ্বমুসলিমকে উস্কে দিয়ে বিশ্বব্যাপী অশান্তির আগুন জ্বালিয়ে দিতে চায়। ফ্রান্সের ধর্মবিরোধী এ অবমাননা বিশ্বমুসলিম নেতৃত্বকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, ফ্রান্স সরকারকে অবিলম্বে এ ধৃষ্টতাপূর্ণ ব্যঙ্গচিত্র প্রচারনা বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় ফ্রান্সের বিরুদ্ধে সারাবিশ্বে প্রতিবাদের দাবানল ছড়িয়ে পড়বে এবং নবীপ্রেমিকরা ফ্রান্সের সকল পণ্যবর্জন করতে বাধ্য হবে।
তিনি বিশ্বশান্তির দূত হযরত মহানবী সা. এর অবমাননা বন্ধে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ানোর জন্য মুসলিম বিশ্বের প্রতি আহবান জানান।
পীর সাহেব বলেন, বাকস্বাধীনতার নামে ফ্রান্স ইসলাম বিরোধী চরম অসভ্য ও নোংরা খেলায় মেতে উঠেছে। ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রীও এর আগে ইসলাম ধর্ম নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য দিয়েছে। এসব উগ্র কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে ফ্রান্স সরকার ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। ফ্রান্স সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া বিশ্বের মুসলমানদের নৈতিক ও ঈমানি দায়িত্ব।
বাকস্বাধীনতার নামে প্রাণপ্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সা.-কে নিয়ে কোন ধরণের ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ বরদাশত করা হবে না বলেও হুঁশিয়ার উচ্চারণ করেন তিনি। অবিলম্বে সরকারিভাবে ফ্রান্সের এই ঘটনার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে কড়া প্রতিবাদ জানাতে সরকারের প্রতি আহবান জানান।
