
আমন্ত্রিত মেহমান ও দর্শক-শ্রোতাদের স্বতঃস্ফূর্ত আগমন এবং আলোচকদের চমৎকার আলোচনায় দারুণভাবেই সমাপ্ত হল ধর্ষণ-ব্যভিচার রোধে বিশ্বনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাম এর নির্দেশনা শীর্ষক সেমিনার।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন মুফতী সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, আহবায়ক রাহমাতুল্লিল আলামীন ফাউন্ডেশন।
আমন্ত্রিত মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদী, মহাসচিব : তাহাফফুজে খতমে নবুওয়াত বাংলাদেশ। মাওলানা আবু তাহের জিহাদী, আমীর : ইসলামি কানুন বাস্তবায়ন কমিটি বাংলাদেশ।
আলোচনা পেশ করেন মাওলানা আব্দুল মতিন, বিষয় : রাসূল মুহাম্মদ সা. এর যুগে ধর্ষণ ও ব্যভিচারের শাস্তি। মুফতী মুজিবুর রহমান, বিষয় : ধর্ষণ-ব্যভিচার রোধে রাসুল মুহাম্মদ সা. এর ওয়াজ ও নসিহত মাওলানা। মুফতী লুৎফুর রহমান ফরায়েজী, বিষয় : ধর্ষণ রোধে প্রচলিত আইন বনাম ইসলামী আইন। মাওলানা ইসমাইল বেলায়েত হুসাইন, বিষয় : ধর্ষণ রোধে সামাজিক সচেতনতা কতটা জরুরি? মুফতী রাফি বিন মনির, বিষয় : ধর্ষণ বৃদ্ধির কারণ কী এবং দায় কার? মুফতী শামসুদ্দোহা আশরাফী, বিষয় : পর্দাহীনতা ও অশালীন পোশাক ধর্ষণের জন্য কেন দায়ী? মুফতী রিজওয়ান রফিকী, বিষয় : অশ্লীলতা ও অবাধ মেলামেশা ধর্ষণের জন্য কেন দায়ী? মুফতী রেজাউল করীম আবরার, বিষয় : ইসলামের দৃষ্টিতে সাক্ষ্য ও প্রচলিত সাক্ষ্য আইন। মুফতী আল-আমীন সরাইলি, বিষয় : ফাঁসির বিধান ও ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি।
রহমাতুল্লিল আলামীন ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত এই সেমিনারে থেকে সরকার ও দেশবাসী বরাবর তিনটি প্রস্তাব তুলে ধরা হয় ।
১) বিজ্ঞ আলেম ও আইনজ্ঞদের দিয়ে বোর্ড গঠন করে ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের শাস্তি নির্ধারণ করা।
২) ধর্ষণ-ব্যভিচার রোধে কঠোর আইনের পাশাপাশি বিশ্বনবী মুহাম্মদ সা. এর শিক্ষা ও শাস্তির বিধান স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটি সহ সকল প্রতিষ্ঠান পাঠের অন্তর্ভুক্ত করা।
৩) ধর্ষণ ব্যভিচার রোধে অশ্লীলতা, নগ্নতা, অবাধ মেলামেশা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
এছাড়া আলোচকগণ বিবাহের বিষয় সহজ করা, বাল্যবিবাহের আইন বাতিল করা, অশ্লীল সিনেমা নাটক বন্ধ করা সহ বেশ কয়েকটি দাবি সরকার বরাবর পেশ করেন। অতঃপর মোনাজাতের মাধ্যমে সেমিনার সমাপ্ত হয়।
