
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের চার বছরে (২০১৪-১৮) খাদের কিনারে পৌঁছে গেছে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত। একের পর এক কেলেঙ্কারির, দুর্নীতি, মালিকানা দখল ও ব্যবস্থাপনা বদলের মধ্যমে অস্থির হয়ে উঠেছে সরকারি বেসরকারি ব্যাংক। রিজার্ভ চুরি, গভর্নরের পদত্যাগ, রেমিট্যান্স প্রবাহে নেতিবাচক ধারা সহ নানা কারণে গত চার বছরে ব্যাংকিংখাত ছিল আলোচনার শীর্ষে।
এছাড়া রাজনৈতিক বিবেচনায় অনুমোদন পাওয়া ব্যাংকগুলোর নাজুক অবস্থা, ব্যর্থতার অভিযোগে ফারমার্স ও এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের চেয়ারম্যানের পদত্যাগ, একাধিক ব্যাংকের এমডিকে অপসারণ এবং রাষ্ট্রায়ত্ব বেসিক, সোনালী, জনতা সব ব্যাংকেরই নড়বড়ে অবস্থাও রয়েছে আলোচনায়।
এদিকে অনিয়ম ঠেকাতে ১৪টি ব্যাংকে পর্যবেক্ষক বসিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এছাড়া বিনিয়োগ মন্দায় তলানিতে আমানতের সুদ হার। লাগামহীনভাবে বেড়েছে খেলাপি ঋণ। আর এসব কারণে ঝুঁকিতে পড়েছে আর্থিক খাত। ফলে শঙ্কায় আমানতকারীরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান মতে, ২০১৩ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ ছিল ৪০ হাজার ৫৮৩ কোটি টাকা। চার বছরের তা দ্বিগুণ হয়ে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর শেষে দাঁড়িয়েছে ৮০ হাজার ৩০৭ কোটি টাকায়।
রিজার্ভ চুরিহয় বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের পক্ষ থেকে। চুরি হওয়া অর্থের মধ্যে ফিলিপাইন থেকে কিছু ফেরত পাওয়া গেলেও বেশির ভাগ অর্থ আদায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এছাড়াও গত দুই বছরে এটিএম ও ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি করে টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকচক্র।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১৪ সালে রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৪৮৩ কোটি ডলার। পরের বছর অর্থাৎ ২০১৫ সালে তা কিছুটা বেড়ে হয় এক হাজার ৫৩১ কোটি ডলার। কিন্তু ২০১৬ রেমিট্যান্স আসে এক হাজার ৩৬১ কোটি ডলার। সর্বশেষ ২০১৭ সালে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আসে এক হাজার ৩৫৩ কোটি মার্কিন ডলার।
