
আজ মোহাম্মদপুরস্থ ইত্তেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া এর জরুরী এক বৈঠকে উলামা-মাশায়েখগণ এই দাবি জানান। উক্ত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন, বাংলাদেশের শীর্ষ মুরব্বি আলেম, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মুহাম্মাদপুর, ঢাকা এর প্রিন্সিপাল আল্লামা আবুল কালাম দা. বা.
বৈঠকে উপস্থিত মুহাম্মাদপুরস্থ কওমি মাদরাসার মুতামিমগণ বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য ও আস্থার প্রতীক, ওলীয়ে কালেম আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রাহ.) কে একটি কুচক্রি মহল কবরের জগতেও অশান্তি সৃষ্টি ও কলংকিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। যারা ২০১৩ থেকে ২০২০ সালে হযরতের স্বাভাবিক ইন্তেকাল পর্যন্ত কখনো ক্ষমতাসীনদের বিপক্ষে ক্ষমতা দখলের অযৌক্তিক হুংকার আর অপরিণামদর্শী বক্তব্যের মাধ্যমে, কখনো অদৃশ্য শক্তির চাটুকারিতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে, আবার কখনো হালুয়া-রুটি হালাল করার জন্য দেশি-বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার চর হয়ে দুনিয়াবী স্বার্থ হাসিলের মতলবে কওমী হালকার ঐতিহ্য বিনষ্টে ন্যাক্কারজনক ভূমিকা রেখে আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রাহ.) এর আকাশচুম্বি গ্রহণযোগ্যতাকে জাতির সামনে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। শুধু তাই নয়, এই গুটি কয়েক দুশ্চরিত্র কুলাঙ্গার হঠাৎ করে কীভাবে গাড়ী-বাড়ী ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কর্তা হয়ে গেলেন, জাতি তা জানতে চায়।
তারা বলেন, এই জনবিচ্ছিন্ন লেবাসধারী মতলবাজ চক্রটি এবার হযরত আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রাহ.) এর স্বাভাবিক ইন্তেকাল, যা তার বড় ছেলে পরিবারের পক্ষ থেকে দেশী-বিদেশী মিডিয়ার সামনে পরিস্কারভাবে জাতিকে জানান দিয়েছেন এবং মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার সকল আসাতেজায়ে কেরাম এ বিষয়ে সুস্পষ্ট বক্তব্যের মাধ্যমে দেশবাসীর সামনে হযরতের স্বাভাবিক মৃত্যুর স্বাক্ষ্য দিয়ে তাঁর ইজ্জত সুমন্নত রেখেছেন।
কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে, কওমি অঙ্গনের কলঙ্ক গুস্টি হযরতের মৃত্যুকে নিয়ে ঘোলা পনিতে মাছ শিকার করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
শুধু তাই নয়, হেফাজতে ইসলামের নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে জাতীয় প্রতিনিধির উপস্থিতিতে দালালমুক্ত হেফাজতে ইসলামের যে জাতীয় নির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে, তা নিয়েও তারা আপত্তি জানিয়েছে, যা সচেতন জাতি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে।
আজ (২২ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার মোহাম্মদপুরস্থ ইত্তেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া এর শীর্ষ ওলামা-মাশায়েখ এক যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
তারা আরো বলেন, দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য এবং অদৃশ্য শক্তির এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য মাওলানা মামুনুল হকসহ দেশের শীর্ষ ও জননন্দিত আলেম-উলামার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের ও আমীরে হেফাজত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী সহ শীর্ষ মুরব্বীদের শানে বেয়াদবী মূলক বক্তব্য ও আচরণ করে যাচ্ছে। আমরা তার তীব্র প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাচ্ছি। অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে এবং দেশে শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্টকারী এই চিহ্নিত দালাল ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করার জোর দাবি জানাচ্ছি অন্যথায় অনাকাঙ্ক্ষিত কোন ঘটনা ঘটলে সরকার এর দায় এড়াতে পারবে না।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, জামিয়া রাহমানিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহফুজুল হক, লালমাটিয়া মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা ফারুক আহমদ সাহেব, বাইতুল ফালাহ মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা তালহা সাহেব, জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়ার মুহতামিম মুফতি মাহমুদুর রহমান, ওয়াহিদিয়া মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মুহাম্মাদ জুবায়ের। জামিয়াতুল আযিযের মুহতামিম মুফতি হাসান আহমাদ সাহেব,
আরো উপস্থিত ছিলেন, আদাবর মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মাহমুদুর রহমান সাহেব, বাইতুল ফালাহ মাদরাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, জামিআ মুহাম্মাদিয়ার ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা মুহাম্মাদ ফয়সাল সাহেব, আশরাফুল মাদারিসের মুহতামিম মুফতি ইসমাঈল সাহেব, বাইতুল জান্নাত মাদরাসার মাওলানা উমর ফারুক সাহেব, আহসানুল উলুমের মুহতামিম মুফতি আমির হোসেন, আন-নূর মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা জুবায়ের মাজাহেরী, ফাতেমাতুজজোহরা মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা সাইফুল ইসলাম, তালিমুশ-শরীয়ার মুহতামিম আযিযুল হক, ঢাকা আদর্শ বালিকা মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মেরাজুল ইসলাম, মুফতি শামছুল আলম দা. বা. মুফতি মাসিহুর রহমান সাহেব প্রমুখ।
