
অবশেষে ওলামা-মাশায়েখ ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের দাবির প্রেক্ষিতে কুমিল্লার মুরাদনগরে জাতীয় সঙ্গীতের সুর নকলের অজুহাতে বন্ধ করে দেওয়া মাদরাসাটি আজ খুলে দেওয়া হয়েছে।
মুরাদনগর উপজেলার ইউএনও মহোদয় গতকাল বুধবার ২১ অক্টোবর মুরাদনগর থানার অন্তর্গত সিদ্ধেশ্বরী গ্রামের দারুল কোরআন আলআরাবিয়া মাদরাসার ওপর দেয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেছেন এবং মাদরাসার স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছেন।
উল্লেখ্য, গত কয়েক দিন আগে কুমিল্লার মুরাদনগরে দেশের জাতীয় সংগীতের সুর দিয়ে আল্লাহর প্রশংসামূলক হামদ পরিবেশন করায় দারুল কোরআন আল আরাবিয়া নামের এই মাদরাসার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিল উপজেলা প্রশাসন।
রোববার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার সিদ্ধেশ্বরী এলাকার ওই মাদরাসার কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময় কাগজপত্র এবং অনুমোদন নিয়ে ওই মাদরাসা চালু করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
জানা যায়, উপজেলার সিদ্ধেশ্বরী দারুল কোরআন আল আরাবিয়া মাদরাসার মুহতামিম নাজিবুল্লাহ আফসারী জাতীয় সংগীতের সুর ব্যবহার করে একটি ইসলামী সংগীত পরিবেশনা করে তার নিজস্ব ফেসবুক এবং ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করেন। এতে বিষয়টি কর্তৃপক্ষসহ গণমাধ্যম এবং স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হয়।
রোববার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাস এবং থানার ওসি নাহিদ আহাম্মেদ। তবে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে পাওয়া যায়নি।
এ সময় মাদরাসার কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়া ওই শিক্ষককে তার ফেসবুক আইডিসহ ইউটিউব চ্যানেল থেকে ওই সুরে গাওয়া সংগীতটি মুছে ফেলার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়।
এ ঘটনার পর সারাদেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানান। ইসলামী নেতৃবৃন্দরা জানান, বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে একটি খোড়া অজুহাত দিয়ে একটি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়ার দুঃসাহস মেনে নেয়া যায় না। অবিলম্বে উক্ত মাদরাসাটি খুলে দিতে হবে এবং বন্ধ করে দিয়ে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানার কারণে উপজেলা প্রশাসনকে জাতির সামনে ক্ষমা চাইতে হবে।
