
ঐতিহাসিক এ তারিখটির কথা স্মরণ হলেই অশ্রুসিক্ত হয় চক্ষুদ্বয়। দেশ জাতির ক্রান্তিকালের মহান সাহসী অভিভাবক, আলেমসমাজের অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র আল্লামা মুফতি ফজলুল হক আমিনী রহ. চিরবিদায়ের কথাই বলছিলাম। স্মৃতির চূড়ায় দাড়িয়ে থাকা এক মহীরুহ আল্লামা মুফতি ফজলুল হক আমিনী রহ. ২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নেন, না ফেরার দেশে। সেদিন আদিবুল উদাবা ইমামে নাহু শাইখুল হাদীস আল্লামা ইসহাক মাদানী রহ. এর সাথে জানাজায় শরিক হয়েছিলাম প্রথম শারীতে।
ইন্তেকালের পরক্ষণে মুফতী আমিনী নেই এই সংবাদে আদিবুল উদাবা ঢুকরে কেঁদে ওঠেন।
আজ সেই ঐতিহাসিক তারিখটি স্মৃতিতে বারবার তাড়িত করে…।
মুফতী আমিনী ছিলেন এমনই এক সাহসী ব্যক্তি,
যার সাহসী উচ্চারণ ছাড়া কোনো আন্দোলন সংগ্রাম জমে উঠতো না। আন্দোলনের মঞ্চে সবাই খুঁজে ফিরত মুফতী আমিনীকে।
প্রতীক্ষায় থাকতো তার বলিষ্ঠ আহ্বানের।
যেকোনো আন্দোলন-সংগ্রামকে সফল করার হিকমাত জানা ছিলো তার। তিনি কোনো আন্দোলন- সংগ্রামের ডাক দিলে জনসমুদ্রেই সাধারণত সফল হতো।
এজন্য রাজপথে মুফতী আমিনীই ছিলেন সবার থেকে বেস্ট।
তিনি ডাকলে দল-মত নির্বিশেষে সবাই ছুটে আসতেন এক প্লাটফর্মে।
মুফতি আমিনী রহ. স্মৃতিচারণ লিখে শেষ করা যাবে না। মুফতি আমিনীর বড় হওয়া, গড়ে ওঠা সবই মুজাহিদে আজম আল্লামা শামসুল হক ফরিদপুরী রহ. ও আমীরে শরীয়ত আল্লামা মুহাম্মাদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর রহ. এর ছায়ায় এবং ছোঁয়ায়। জীবনের প্রতি মুহূর্তে নিজের সকল কাজে তিনি এই মুরব্বিদ্বয়কে সামনে রাখতেন, স্মরণও করতেন। নীতি ও আদর্শের কোন অভাব তাঁর মধ্যে ছিলো না। তবে এতটুকই বলবো, আমরা এক জন আদর্শবান আলেমকে হারিয়েছি। যা পূরণ হবার নয়।