বিবিসি বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের একটি জাদুঘরে হিব্রু বাইবেলের আদি পান্ডুলিপির ৫টি খন্ড জাল প্রমাণিত হওয়ায় সেগুলো সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
হিব্রু বাইবেলের পান্ডুলিপির আদি নিদর্শন ধরা হয় ডেড সি স্ক্রলকে।
এতদিন এর জাল খন্ডগুলোই প্রদর্শনীর জন্য রাখা হয়েছিল ওয়াশিংটন ডিসির বাইবেল জাদুঘরে।
শেষপর্যন্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর খন্ডগুলো জাল প্রমাণিত হওয়ায় জাদুঘর কর্তৃপক্ষ সেগুলো সরিয়ে ফেলে।
আদি হিব্রু বাইবেলের ১৬টি খন্ড ছিল ওয়াশিংটনের বাইবেল জাদুঘরের কাছে। এর মধ্যে ৫টি খন্ড পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল জার্মানিতে।
জাদুঘর কর্তৃপক্ষ বলেছে, পরীক্ষার ফলাফলে পান্ডুলিপির আদি রুপের সাথে এগুলোর অসঙ্গতি ধরা পড়েছে।
৫০ কোটি ডলার ব্যয় করে ২০১৭ সালে বাইবেল জাদুঘরটি চালু করেন একজন খৃষ্টান এবং ধনকুবের স্টিভ গ্রিন।
হিব্রু বাইবেলের পান্ডুলিপির সন্ধান মিলেছিল কিভাবে?
হিব্রু বাইবেলের প্রথম খন্ডের খোঁজ মিলেছিল ১৯৪৭ সালে।তখন এটি পাওয়া গিয়েছিল ডেড সি’র উত্তর পশ্চিম তীর থেকে এক কিলোমিটার পশ্চিমে কামরান নামের পাহাড়ি মরু এলাকার গুহা থেকে।
এক বেদুঈন বালক ভেড়া চড়াতে গিয়ে এই পান্ডুলিপিটি পেয়েছিল।
বেদুঈন বালকের পরিবার সেই পান্ডলিপি পুরাকীর্তি ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দিয়েছিল।
পরে সেই পান্ডুলিপি খৃষ্টান ধর্মযাজকের হাতে যায়।
বিবিসি ২৫ নভেম্বর ২০১৮.
বিবিসির এই রিপোর্টে পবিত্র কোরআনের আরেকটি ঘোষণার সত্যতা ফুটে উঠেছে। সর্বশেষ আসমানী কিতাব আল কোরআন চৌদ্দশত বৎসর আগেই একথা স্পষ্ট বলে দিয়েছে যে, তার পূর্ববর্তী আসমানী সমস্ত কিতাবকে জাল করে ফেলা হয়েছে এবং সেগুলোতে ব্যাপক রদবদল পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করে প্রকৃত নির্দেশগুলো খৃষ্ট ও ইহুদী ধর্মানুসারী গুরুরা কাটছাঁট করে ফেলেছে।
আজ তারা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে পাঁচটি কপি কে জাল প্রমাণ করেছে বটে; মূলত তাদের কাছে থাকা সবগুলোই জাল। কেননা তারা যে পান্ডুলিপির উপর নির্ভর করে বাকিগুলোকে জাল বলছে সেই পান্ডুলিপিটি আসল হওয়ার কোনো প্রমাণ নেই। সেটা কুড়িয়ে পাওয়া একটি পাণ্ডুলিপি।
এছাড়া হিব্রু ভাষা বুঝে এবং পড়তে পারে এমন লোক এখন নেই।
সুতরাং কোরআন যে ঘোষণা দিয়েছে যে, কেবল কুরআনই একমাত্র হেদায়েতের পথনির্দেশক, এটাই শতভাগ সত্য। কেননা এই কোরআন কেয়ামত পর্যন্ত সংরক্ষিত থাকবে এবং কোরআন পড়তে পারে, বুঝতে পারে লাখো লাখো এমন মানুষ এখনো আছে এবং কেয়ামত অবধি থাকবে।