যমযম ডেস্ক: প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা হিফজুল কোরআন প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। বিশেষ করে বাদশা আব্দুল আজিজ ৪০তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতার ফলাফলকে কেন্দ্র করে মারকাজুত তাহফিজ-এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিযোগের পাহাড় জমেছে।
ওই প্রতিযোগিতায় হোসাইন আহমদ চতুর্থ হয়েছেন মর্মে মারকাজুত তাহফিজ থেকে সংবাদ প্রচার করার পরই নিউজ পোর্টালগুলোতে সংবাদটি জায়গা করে নেয়। অতপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবরটি প্রচার হওয়ার পর zamzam24.comএর পক্ষ থেকে মারকাজুত তাহফিজের কর্ণধার হাফেজ নেছার আহমদ নেসারির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জোরের সঙ্গে চতুর্থ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ফলে zamzam24 ও সংবাদটি প্রচার করে। কিন্তু পরবর্তীতে নানা মহল থেকে এ বিষয়ে সন্দেহের অবতারণা হলে মারকাজুত তাহফিজ কর্তৃপক্ষ কোনো প্রমাণ পেশ করতে পারেনি।
এ সূত্র ধরেই মারকাজুত তাহফিজ ও এ ধরণের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে ধরেছেন কেউ কেউ। কেউ বলছে, এসব প্রতিষ্ঠান একজন হাফেজকে ইন্টারন্যাশনাল পুরস্কার এনে দিয়ে ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে লোকদেরকে সেখানে ভর্তি হতে উদ্বুদ্ধ করে মোটা অঙ্কের টাকা কামিয়ে নিচ্ছে। কেউ বলছে, সেখানে ভর্তি হতে বড় অঙ্কের টাকা গুনতে হয়। অন্যদিকে খাবারের মান ও শিক্ষকদের বেতন খুবই কম। কেউ বলছে এসব প্রতিষ্ঠান থেকে এক দুইজনকে প্রতিযোগিতার জন্য ভালোভাবে তৈরি করা হলেও অধিকাংশ ছাত্ররা থাকছে অবহেলিত।
বাংলাদেশী হাফেজগণ আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় সফলতা অর্জন করে দেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই। হাফেজ নেসারী সাহেব সহ অন্যান্য উস্তাযদের অবদানও ছোট করে দেখার মত নয়। তাই বলে এটিকে কেন্দ্র করে অতিমাত্রায় পেশাদার প্রতিযোগী হওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়। আর শুধুমাত্র প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা কোন ছাত্রের উদ্দেশ্য হতে পারে না; বরং সে হাফেজে কোরআন হবে, আলেম হবে, দেশ ও ইসলামের খেদমত করবে এটাই উদ্দেশ্য হওয়া চাই। পাশাপাশি যদি কোন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনতে পারে সেটা অবশ্যই প্রশংসনীয়।